রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন

তারা সেইসব প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত

তারা সেইসব প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত

স্বদেশ ডেস্ক:

একটি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত, জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে তারকাদের যোগদান নতুন কোনো বিষয় নয়। বিষয়টি দুপক্ষের জন্যই সম্মানের। কিন্তু বর্তমান সময়ে এসে এটা নিয়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রশ্ন। আর সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে তারকাদের। এতে বিব্রত হচ্ছেন তারা। সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান ছাড়া শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে চিন্তাভাবনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন অনেকেই।

২০১৩ সালে জাতিসংঘের শিশু তহবিল সংস্থা ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হয়েছিলেন চিত্রনায়িকা আরিফা জামান মৌসুমী। তিনি বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করার আগে অনেক বিষয় চিন্তা করা উচিত। প্রতিষ্ঠানটি কী ধরনের কাজ করছে, এতে সাধারণ মানুষ কতটা লাভবান হবেন, দেশের কোনো ক্ষতি হবে কিনা এমন বিষয় সবার আগে চিন্তা করা উচিত। আপনি যখন তারকাখ্যাতি অর্জন করবেন, তখন আপনার দায়িত্ব বেড়ে যাবে। কারণ আপনাকে সাধারণ মানুষ ফলো করে। আর বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাধারণ মানুষ বেশ সক্রিয়। তারকারাও তাদের প্রতিদিনের আপডেট দিচ্ছেন এখানে। তাই আপনি কী করছেন, কী বলছেন সব সাধারণ মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হতে পারে, এটা প্রথমে চিন্তা করতে হবে। এখন আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হলে সাধারণ মানুষ সেটাকে নিরাপদ ভাববে এটাই স্বাভাবিক।’

ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা হয়ে বিব্রত হয়েছেন জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান এবং শবনম ফারিয়া। ইভ্যালির শুভেচ্ছাদূত হয়েছিলেন তাহসান। তিনি বলেন, ‘আমি এত বছর ধরে কাজ করছি। এত এত কোম্পানির সঙ্গে কাজ করলাম। কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়িনি। সব কোম্পানির কমবেশি কাস্টমার কমপ্লেইন থাকে। যেটা আমার পর্যন্ত আসারই কথা নয়। আমি তাদের বললাম, দেখেন আপনাদের বিজ্ঞাপন করার আগেই এত কাস্টমারের কমপ্লেইন আমার কাছে এসেছে এতে করে আমি খুবই বিব্রত হচ্ছি। আমি বিজ্ঞাপনের শুটিং করব না। চুক্তিও বাতিল করতে চাই। তারা আমাকে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমি মে মাসের শেষেই চুক্তি বাতিল করি।’

তাহসান আরও বলেন, ‘অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের সঙ্গে কাজ করছে। কই তাদের নিয়ে তো কেউ কিছু বলছে না। তারকাদের গালি দেওয়া হয়তো খুব সহজ। তাই মানুষ আমাকে নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু আমি আমার দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে অনেক আগেই বেরিয়ে গেছি।’ ইভ্যালির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন শবনম ফারিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি যোগদানের পর থেকেই জানতে পারি প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে ভেতরে সমস্যা চলছিল। কোথাও কাজ শুরুর আগে তার ভেতরের অবস্থান সম্পর্কে জানাটও মুশকিল। তাই যখনই জানতে পারি সমস্যা চলছে, তখনই নিজেকে সরিয়ে নিই। কারণ সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় আজকের আমি। তাদের ক্ষতি হতে পারে এমন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার প্রশ্নই আসে না।’

বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন দেশের আরও অনেক তারকা। তাদের মধ্যে আছেন শীর্ষ নায়ক শাকিব খান, অপু বিশ্বাস , নুসরাত ফারিয়া, নিরব প্রমুখ। শাকিব খান আছেন পেইন্ট সল্যুশন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের [বিপিবিএল] শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। তিনি বলেন, ‘এটি দেশের অন্যতম কয়েকটি ব্র্যান্ডের মধ্যে একটি। এমন একটি স্বীকৃত ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত।’ অপু বিশ^াস শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন ওয়ালমার্ট নামের একটি ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানের হয়ে।

তিনি বলেন, ‘আমি পাঁচ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এই প্রতিষ্ঠান মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না এতটুকু বলতে পারি। আমি চাই সব জায়গায় দেশীয় পণ্যের সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক।’ করপোরেট মার্কেটপ্লেস প্রতিষ্ঠান শ্রেষ্ঠ ডটকমের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন নায়ক নিরব। তিনি বলেন, ‘এটা একটি নতুন অভিজ্ঞতা দেবে আমাকে। অনেকটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি বলা যায়। তবে আমার মূল ফোকাস থাকবে সিনেমাতেই।’ অনলাইন শপ চালডাল ডটকমের শুভেচ্ছাদূত হয়ে কাজ করছেন নুসরাত ফারিয়া। তিনি বলেন, ‘আগামী এক বছর আমি এই প্রতিষ্ঠানটির হয়ে কাজ করব। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির একটি টিভিসি এবং দুটি ওভিসিতে অংশ নেব।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877